রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের দুঃসাহস দেখাবেন না: শীর্ষ উলামায়ে কেরাম
ডেস্ক রিপোর্ট ০৭ মার্চ ২০১৬, ১৩:৫৫ অপরাহ্ন
ঢাকা: সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাতিলের দুঃসাহস না দেখাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বলেন, সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ইসলাম বিরোধী বাতিল চক্র ধারাবাহিকভাবে ইসলাম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। বিশ্বের বুকে সর্বাধিক সম্প্রীতির দেশ আমাদের প্রিয় ভূমিকে তারা অস্থিতিশীল করতে ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ধ্বংস করতে চায়। ইতিহাস সাক্ষী, এ অশুভ শক্তি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই ইসলাম, ঈমান ও মুসলমানদের উপর আঘাত হেনেছে। সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার আবেদন করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা বলেন- “রাষ্ট্র যার যার ধর্ম সবার, ধর্ম যার যার উৎসব সবার” শ্লোগান দিয়ে ইসলাম প্রিয় জনতার অন্তর থেকে ঈমান মুছে ফেলার চেষ্টায়রত ইসলাম বিরোধী এ অশুভ চক্রটি “রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে নেই” বলে অসার যুক্তি দেখিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। ৯৫ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম দেশের সংবিধান থেকে ইসলামের নাম-নিশানা মুছে দেয়ার চক্রান্ত কোন দিন শুভ হবে না। তারা কি দেশে ব্যাপক অরাজকতা সৃষ্টি করে জঙ্গি তৎপরতা আবিস্কার করে দেশ, মুসলিম উম্মাহ ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়? আমরা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। দীর্ঘ ২৮ বছর পর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার রিট বাতিল করার পরিবর্তে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে অগ্রসর হলে ইসলাম প্রিয় জনতা ইমানী দায়িত্বেই তা রুখে দিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ আবদুল মোমিন, শীর্ষ আলেমেদ্বীন রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, মাওঃ মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমিরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।